ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ইট ভাটার কারণে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম :: প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ইটভাটা। নদীর তীরে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটার কারণে মা মাছ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে।

ইটভাটার জন্য মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে হালদার বুকে জেগে ওঠা চর থেকে। আর মাটিগুলো নিয়ে যেতে ব্যবহার করা হচ্ছে যান্ত্রিক নৌযান। হালদায় যান্ত্রিক নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটার মালিকরা তোয়াক্কা করছে না এসব। গত কয়েক বছরে যান্ত্রিক নৌযানের আঘাতে হালদা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ৫১ টি ডলফিন মারা গেছে।

হালদা নদীর তীরে রাউজান উপজেলা অংশে কোতায়ালী ঘোনার পাশে, পশ্চিম বিনাজুরী, পশ্চিম গুজরার কাসেম নগর, উরকিরচরের পশ্চিম আবুরখীল, সার্কদা, নোয়াপাড়ার মোকামীপাড়া ও কচুখাইন এবং হাটহাজারী উপজেলা অংশে মেখলে ১০টি ইটভাটা গড়ে ওঠে। এরমধ্যে মোকামীপাড়া এলাকায় ‘এ আলী’ নামের একটি ইটভাটা গতবছর পরিবেশ অধিদপ্তর গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বাকিগুলোর ৭টি বন্ধ করা হলেও উরকিরচরের সার্কদা এলাকায় ‘মেসার্স আজমীর অটো ব্রিকস’ ও পশ্চিম আবুরখীল এলাকায় ‘শান্তি ব্রিকস’ নামে দুটি ইটভাটা এখনো চালু রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের গুগিয়ে দেওয়া মোকামী পাড়া এলাকায় এম আলী নামের ইটের ভাটাটি পুনরায় চালু করেছে। হালদা নদীর চর থেকে মাটি উত্তোলন করেই চলেছে। ইটভাটার মালিকদের দাবি, তাদের বৈধ লাইসেন্স আছে।

ইট কেনাবেচার জন্যও নদীপথে যান্ত্রিক নৌযান ব্যবহার করছে তারা। প্রতিদিন ক্রেতারা ইট কিনে নদী পথেই নিয়ে যায়। আর বিক্রির জন্যও নদীপথ ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ইট পৌঁছে দেয় ইটভাটার মালিকরা। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে হালদার জীববৈচিত্রের। প্রতিদিন হালদা নদীতে জেগে উঠা ছায়ার চর. হালদার চর, সহ হালদা নদীর বিভিন্ন্ এলাকা থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি খনন করে যান্ত্রিক নৌযানে করে চর কাটা মাটি হালদা নদী দিয়ে ইটের ভাটায় এনে ইট তৈয়ারীর জন্য স্তুপ করছে ইট ভাটার মালিকেরা । গত কয়েক বৎসর পুর্বে হালদা নদীর ইট ভাটায় অভিযান চালিয়ে মোকামী পাড়া এম আলী ইট ভাটা পরিবেশ অধিদপ্তর গুড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। সার্কদা এলাকায় যান্ত্রিক নৌযান করে মাটি আনায় আজমীর ব্রীকসকে জরিমানা করা হয় । পশ্চিম আবুর খীল শান্তি ব্রীকসকে জরিমানা করেন রাউজান উপজেলা প্রশাসন । পরবর্তী সময়ে হালদা নদীর তীরে তিনটি ইট ভাটায় কোন অভিযান করেনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ।

যোগাযোগ করা হলে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগজ্যাই মারমা বলেন, হালদা নদীর জীববৈচিত্র রক্ষায় হালদা পাড়ে গড়ে উঠা ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে ।

পাঠকের মতামত: